দরিদ্র ঘরের মেয়ে নন্দিনীর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ,পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক: মানিকগঞ্জের হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে নন্দিনী রানী সরকার ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। বাবার অটোরিকশার উপার্জনে বেড়ে ওঠা নন্দিনী কঠোর পরিশ্রম ও মেধার গুণে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। এমনকি নন্দিনীর মেডিকেল কলেজ জয়ের খবর শুনে সুদূর লন্ডন থেকে তার জন্য উপহার সামগ্রি পাঠিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জেলা বিএনপি’র সভাপতি আফরোজা খান রিতাসহ কেদ্রীয় ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ শুক্রবার সন্ধ্যায় তারেক রহমানের পাঠানো মেডিকেলের প্রথমবর্ষের বই ও ভর্তির টাকা নন্দিনীর হাতে তুলে দেয়ায় দরিদ্র পরিবারের এই মেধাবীর পড়াশোনায় উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে। নন্দিনীর এই সাফল্যে গর্বিত তার পরিবার ও স্থানীয়রা। তার পড়াশোনার সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সুদূর লন্ডন থেকে তিনি পাঠিয়েছেন মেডিকেলের প্রথম বর্ষের বই ও ভর্তির খরচ। শুক্রবার বিএনপি নেতারা নন্দিনীর হাতে এসব উপহার তুলে দেন। গত শুক্রবার দুপুরে নন্দিনীর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়,ছোট্ট একটি টিনের ঘরের অর্ধেকটা জুড়ে শুধু বই আর বই। কাঠের চৌকিতে বসে পড়াশোনা করতে দেখা যায় নন্দিনীকে। আর বাহিরে জনাকীর্ণ চারপাশ খোলা রান্নাঘরে নন্দিনীর মা শিমা সরকার রান্নায় ব্যস্ত। বাবা অটোরিকশা চালিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নিয়ে কথা হয় নন্দিনী ও মা-বাবা এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে। মেয়ের সফলতায় পরিবারের সবাই আনন্দিত। দুপুরের পরপর নন্দিনীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন যে কলেজ থেকে লেখাপড়া করে কৃতিত্ব অর্জন করেছে সেই কানিজ ফাতেমা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুল হালিম এবং আরেক শিক্ষক। এরপর বিকালে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাঠানো উপহার সামগ্রী নিয়ে নন্দিনীর বাসায় আসেন বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি আফরোজা খান রিতা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ একঝাঁক বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এ সময় আফরোজা খান রিতা নন্দিনীকে বুকে জড়িয়ে আদর করেন। নন্দিনী বলেন,”আমি চাই দরিদ্র মানুষের সেবা করতে, যেন টাকার অভাবে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।” তার মা-বাবারও স্বপ্ন, মেয়ে যেন মানবিক চিকিৎসক হয়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নন্দিনী আরও বলেন, আমার বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল মেয়ে ডাক্তার হবে। তাদের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য ভালোভাবে পড়াশোনা শুরু করি। কানিজ ফাতেমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আমি এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। আমার বাবা হতদরিদ্র অটোরিকশাচালক হওয়ায় আমার এবং ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচ চালাতে তার খুব কষ্ট হয়। যার কারণে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে বই-খাতা কলমসহ সব ধরনের সহযোগিতা এবং স্যারেরা সবসময় আমার এবং বাবা-মায়ের স্বপ্নপূরণে পাশে থেকে এবং উৎসাহ দিতেন। এসএসসি পাস করার পর কানিজ ফাতেমা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ঢাকায় কোচিং করার সময় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। মেডিকেলে পরীক্ষা দেয়ার পর আমার রেজাল্ট দেখে পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাই খুশি। বাবা- মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমি খুশি। নন্দিনী জানান,মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার খবর পেয়ে সুদূর লন্ডন থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের মানিকগঞ্জের মানবতার ফেরিওয়ালা আফরোজা খান রিতা আপা এবং ছাত্রদলের মাধ্যমে মেডিকেলের বইসহ উপহার সামগ্রী পাঠানোর জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তার এই মহানুভবতার কারণে আমার উৎসাহ আরও বেড়ে গেল।
দরিদ্র ঘরের মেয়ে নন্দিনীর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ,পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
