জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বন্ধকি কৃষকের কলা গাছ কেটে দিয়েছে কমল গং

নরসিংদী প্রতিনিধি:

এ কেমন শত্রুতা! জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বন্ধকি জমির কৃষকের কলা গাছ কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। রবিবার (১৯ মে) নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বন্ধকি কৃষক শফিকুল ইসলামের কলা ক্ষেত কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়েছে কমল ও তার মেয়ের জামাই হরেকৃষ্ণ।

জানা যায়, চরপাড়া গ্রামের সুলতান বিয়ার ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে একই গ্রামের মৃত যোগেশ চন্দ্র ছেলে নিতাই কমল ও শীতল তিন ভাইয়ের ২৪ শতাংশ জমি বার্ষিক ৪ হাজার টাকায় ভাড়ায় চাষাবাদ করে আসছে।  বছর দেড়েক আগে নিতাই ও কমল তাদের জায়গা ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দিলে শীতের ভাগে ৮ শতাংশ জমি ৫০ হাজার টাকা বন্ধক চাষাবাদ করতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে চরপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে ইসমাইলের ইন্দনে কমল তার বড় ভাই শীতলের জায়গা জোরপূর্বক দখলে চেষ্টা চালায়। শুধু তাই নয় ইসমাইলের যোগসাজোসে শীতলের ওই জমি কমল যৌতুক হিসেবে তার মেয়ের জামাইকে লিখে দেয়।

রবিবার সকালে ইসমাইলের নির্দেশে কমলের মেয়ের জামাই হরেকৃষ্ণ ওই জমির কলা গাছ কেটে দখলে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় শীতল ও তার পরিবারসহ বন্ধক সূত্রে জমির মালিক শফিকুল এসে বাঁধা দেয়। পরে কমল তার ছেলে মেয়েকে সাথে নিয়ে ওই জমির সকল কলা গাছ কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। এতে বন্ধকি কৃষক কলা চাষী শফিকুলের প্রায় ৮০ হাজার টাকা ক্ষতি হয় বলে জানান তিনি।

বন্ধকি কলা চাষী শফিকুল বলেন, আমি একজন গরিব কলা চাষী কৃষক। কোনমতে ৫০ হাজার জোগাড় করে শীতলের কাছে থেকে ওই জমি বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ করে আসছি। গতকাল হঠাৎ জমির সব কলা গাছ কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে কমল গংরা। এ অবস্থায় আমি কি করবো ভেবে কোন কুল কিনারা পাচ্ছি না। আমি এর উপযুক্ত বিচার ও আমার ক্ষতিপূরণ দাবী করছি।

হরেকৃষ্ণ বলেন,আমি আমার জমি পরিষ্কার করতে গেলে সকলের বাঁধার মুখে ফিরে আসি। পরে কি হয়েছে না হয়েছে আমি আর জানিনা।

কমল সাহা বলেন, পূর্বে থেকে এই জমি আমি ভোগ দখল করে আসছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পূর্বে শালিস দরবার বসলে সেখানে এই জমি আমাকে ছেড়ে দিতে বলা হয় আমি এতে রাজি হইনি। পরে এ জমি আমি আমার মেয়ের জামাই কে লিখে দেই।

শেয়ার করুন:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।