নিজস্ব প্রতিবেদক
তৃণমূলে চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। একই সঙ্গে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘আমার নির্দেশ একটাই—তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত করা।’
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মস্থলে অনুপস্থিত চিকিৎসকদের ব্যাপারে সামন্ত লাল বলেন, ‘কেন ডাক্তাররা (কর্মস্থলে) থাকেন না, সে বিষয়ে ডিজিসহ মন্ত্রণালয়ের সকলকে বলেছি। ইতোমধ্যে যে সমস্ত জায়গায় ডাক্তার ছিলেন না, তাদের শোকজ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
চিকিৎসক সংকট নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা এক দিনের সমস্যা নয়, বহুদিনের সমস্যা। এ বিষয়ে আমরা একটা পদক্ষেপ নিয়েছি। স্ট্যান্ডার্ড সেটআপ অনুমোদন হয়ে গেছে।’
চলতি মাসজুড়ে সারা দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কয়েক ধাপে ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। তীব্র গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিট স্ট্রোকে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও।
এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গরমের কারণে আমি প্রত্যেক সিভিল সার্জনকে বলে দিয়েছি, ইমারজেন্সি রোগীদের জন্য যাতে হাসপাতালে বেড ফাঁকা রাখা হয়।’
এর আগে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। প্রার্থনা করেন বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায়।
পরে দেশের প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিক টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে যান এই টেকনোক্রেট মন্ত্রী। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মীর সরোয়ার হোসেন চৌধুরী, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নিয়াজ মোহাম্মদ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক নাহিদ ফেরদৌসী, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।